
আল আমিন, জয়পুরহাটঃ
জয়পুরহাটে ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) ঘিরে নতুন করে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। দলের সাবেক জেলা প্রধান সমন্বয়ক ফিরোজ আলমগীরের আকস্মিক পদত্যাগ এবং অল্প সময়ের মধ্যেই একই ব্যক্তি জেলা কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে ফের দায়িত্ব গ্রহণ করায় দলীয় অঙ্গনে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
পদত্যাগের সময় ফিরোজ আলমগীর দলের কার্যক্রমকে অস্বচ্ছ, মানহানিকর ও দ্বিধাজনক বলে মন্তব্য করেছিলেন। তার বক্তব্যে দলের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত ও নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই কঠোর অবস্থান থেকে ফিরে এসে আবার নেতৃত্বের কেন্দ্রে জায়গা নেওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে গভীর অস্বস্তি ও ক্ষোভ।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের প্রশ্ন, যে ব্যক্তি নিজেই দলকে প্রশ্নবিদ্ধ করলেন, তিনি আবার কীভাবে নেতৃত্বের আসনে ফিরে এলেন ?
অনেকের মতে, হঠাৎ পদত্যাগ এবং দ্রুত ফিরে আসা কোনও স্বাভাবিক বা স্বতঃস্ফূর্ত সিদ্ধান্ত নয়; বরং এটি পূর্বপরিকল্পিত সমঝোতার অংশ।
নেতাকর্মীরা অভিযোগ করছেন, এ ধরনের আচরণ মাঠপর্যায়ের কর্মীদের মনোবল দুর্বল করে এবং দলের সাংগঠনিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও মনে করছেন, এনসিপির অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। তাদের ভাষ্য—যে ব্যক্তি দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিলেন, তাকে পুনরায় দায়িত্ব দেওয়া নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে অসঙ্গতি ও বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। এতে সাধারণ সমর্থকদের মধ্যেও দলকে নিয়ে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে ফিরোজ আলমগীর এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আমার পদত্যাগপত্রটি গৃহীত হয়নি। জেলা পর্যায়ের কমিটিতে আওয়ামীপন্থিদের স্থান দেওয়া হচ্ছিল। আমি কেন্দ্রকে জানিয়েছিলাম দলে কোনও আওয়ামীপন্থি থাকবে না। আলোচনার মাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝি দূর হওয়ায় আমাকে পুনরায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জয়পুরহাটে এনসিপির সাংগঠনিক একতা, নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা ও রাজনৈতিক অবস্থান তিনটিই বড় ধরনের চাপে পড়েছে। নেতাকর্মীদের আশঙ্কা, অভ্যন্তরীণ এই অচলাবস্থা অব্যাহত থাকলে সামনে আরও বড় সংকট সৃষ্টি হতে পারে
Leave a Reply